বয়সের ঢেউ
যুবকের মত দুরন্তপনায় উপভোগ করা, কিংবা শৈশবের মত আতঙ্কিত হওয়া, নতুবা পৌঢ়ের মত একান্ত ব্যাস্ত থাকা, অথবা বৃদ্ধের মত এমনিই প্রভুকে ডাকা। নাহ সে সব কিছুই এ সময় বোধহয়না, সময়ের চলায় অপলক তাকিয়ে থাকা হয়, বয়সের ঢেউয়ে নিজের উত্থান পতনকে দেখা। এ বড়ই অদ্ভুত রোমাঞ্চকর হতাশার, আর অবাক ধরনের অকল্পনিয় সুখের, তাই তো আমাদের বেঁচে থাকার ইচ্ছা, নিজেরা সাপ লুডুর মাঠে প্রভুর গুটির মত। কখন কিভাবে উঠবো নামবো ফুরিয়ে যাবো, তা ভেবেও থামা হয়না না কারোই ছুটে চলা। দিগন্তবিস্তৃত উন্মাদ ঢেউয়ের বুক ফাটিয়ে, কখনো মাটির বুকে পিচ গলিয়ে পাথর চেপে। দাপটে বেড়ানো এই পার্থিবের বুকে আমরা, ক্ষুদ্র বালুকার চেয়েও ক্ষুদ্র মানব বস্তু, অদম্য ইচ্ছা, অদ্ভুদ অনুভুতি, অকল্পনিয় সুখ, অফুরন্ত আশা ব্যার্থতা হতাশা গুটিয়ে যেতে চাওয়া। তাও আমরা নাইবা ডরাই, হেরেও যদি যাই, জানি জিতেই চলেছি আমরা সর্বদা, প্রভুযে বলেছেন তুমি সৃষ্টির সবচেয়ে সেরা। [লিখাঃ রাত ১১টা+, ২২ জুলাই ২০২১, লঞ্চের ছাঁদে, কালীগঞ্জ রিভার জোন]