আপনি বাচঁলে বাপের নামের চেয়ে বাপকা বেটাই শ্রেয়

আপনি বাচঁলে বাপের নামের চেয়ে বাপকা বেটাই শ্রেয়
"আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে ,
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে?
মুখে হাসি বুকে বল, তেজে ভরা মন,
মানুষ হইতে হইবে, এই যার পণ।"

এই কবিতাটি ছোট হতে যতটুকু পর্যন্ত বাবাকে কাছে পেয়েছি ততটুকু বয়স পর্যন্ত কতবার যে শুনিয়েছেন তার ইয়ত্তা নেই।      বাবা, আজও তোমার ঐ কবিতাকে বারবার পাঠ করার চেষ্টা করছি, তখন এটা একটা কবিতাই মনে করতাম দিনযায় বড়হচ্ছি কবিতাও কেন যেন কঠিন হচ্ছে। কিন্তু একটা অক্ষরও তো বদলায়নি?..      বাবা, পারিনি দিতে  তোমাকে তোমার প্রাপ্য সম্মান, খেদমতও করিনি আজও পারঠিছ না তোমার জন্য দোয়া করতে। হেরে গিয়েছি সবখানে কিছুটা শুধরেও নিয়েছি, কিন্তু তোমার কাছে শুধরনোর বা ক্ষমা চাওয়ার একটা সুযোগও তো পাবনা। যান্ত্রিক জীবনে হয়েছি পাষান তাই আজও অন্যদের প্রাপ্যটাও দিতে পারছিনা। তোমার একটাকথা আজও মনে পরে “১০বার পড়ার  চাইতে একবার লিখা উত্তম” তাও পারিনি লেখাপড়াতো গোল্লায় অন্য সবকাজে কপি করা, শর্টকাট করার অভ্যাসটাও এখনও ছাড়তে পারিনি।  সমস্যার সমাধান চাইনা, জানতে চাই “যে আদর, মায়া, মমতা, ¯স্নেহে ননির পুতুল তৈরী করেছিলে, কেন একবার ও ভাবনি এই ননির পুতুল কিভাবে নিজের পায়ে দাড়াবে।” তোমার লাই পেয়ে নাকি আমি মাথায় উঠেছিলাম, তাহলে কেন হঠাৎ করে ছেরেগেলে ?  এতগুলো দিন গেল তুমি নাই, তারপরও নিজেকে শুধরে নিতে পারছিনা। আমি কি বলছি??.... আমার মতকরে যারা হারিয়েছে তারা বাদে কেউতো বুঝবেন।।      তবে বাবা তোমার ছেলে হারতে শিখেনি, শিখেছে তোমার মতই শত বিপদে ধর্য্য ধরে মোকাবেলা করতে। হেরেছি তবে.. তোমার কাছে..  কেন?  কতটা ধর্য্য ধরতে হয় তা এখনও শিখতে পারিনি , আর একটু যদি শিখিয়ে যেতে। এত কিছু জানতে এটা জানতে না ননির পুতুল যেমন হাতে নিলে মৃদু তাপে গলে যায়, আমার ভিতরের যতটুকু জেদ তাতে আমার ধর্য্যরে বাধঁটা দ্রুতই গলে যাবে। এতটা ধর্য্য তুমি কিভাবে ধরতে?  তাও নিজেকে বদলনোর চেষ্টা করছি। কতদিন তোমায় ছুয়ে দেখিনা, তোমার কথা শুনিনা, এত দ্রুতই যদি এতিম করবেই তাহলে কেনএত আদর মায়া, মমতা, ¯স্নেহে জরিয়েছিলে? যতদিন যায় তোমাকে মনে পরার মাত্রাটা কমছে না বরং বারছে । কারন ??... ঝড়ৎৎু বাবা, তোমার আদর্শ সন্তান হতে পারছিনা, তবে দোয়াকর যেন না খেয়ে মরলেও তোমার মত সততা নিয়েই থাকতে পারি, অট্রালিকা ও টাকার স্বপ্ন আমাকে নির্ঘুম করলেও সততা আমাকে পিছুটানছে। এই পিছুটান যেহেতু আমার রক্তে মিশে আছে একে জয় করার ক্ষমতা বা ইচ্ছা আমার নেই, সিজান মাহ্মুদ নামে আর বড়হওয়া বা পরিচিত হওযার চেয়ে জয়নাল আবেদীনের ছেলে হয়ে বাচঁতে চাই।।এখনআমার কাছে “ আপনি বাচঁলে বাপের নামের চেয়ে বাপকা বেটাই  শ্রেয় ”

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার বাংলাদেশ

রহিঙ্গাদের ফেরৎ না নিলে শেষ সমাধান কি?